আমাদের সফলতা – ২

মায়ের বয়স ৩৬, সাথে ছিলো অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। এর আগে দুটি সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় বাচ্চা হওয়ার পরই তার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। যদিও ২য় বাচ্চার গর্ভধারণের সময়টুকুতে তার ডায়বেটিস ছিলো কিনা তা সে বলতে পারে না। এটি ছিলো আর তিন নাম্বার সন্তান। লম্বা সময় বিরতির পর এই প্রেগন্যান্সি হয়েছিলো। অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিসে গর্ভধারণ করলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বিশেষ করে প্রথম তিন মাসের সময়ে যদি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা না যায়।
আর তাই গর্ভধারণের পর পরই শুরু হয় ডায়াবেটিস কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণের সব ধরণের চেষ্টা। আমার এই পেশেন্ট খুব বাধ্যগত ছিলো, মাশাআল্লাহ। সব ধরণের উপদেশ মেনে চলাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, হালকা ব্যায়াম আর ইনসুলিনের মাধ্যমে তার এই ডায়বেটিস কন্ট্রোল করা হয়। সেই সাথে ছিলো প্রেগন্যান্সির নিয়ম মাফিক ভিটামিন-ক্যালসিয়াম গ্রহণ আর নিয়মিত বিরতিতে চেক আপ।
ডেলিভারীর তারিখের দুই সপ্তাহ আগেই নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে তার তৃতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আলহামদুলিল্লাহ, বাচ্চা ও মা দুজনেই সুস্থ আছেন।দেড় মাস বয়সের সময় হাসিমুখে দেখিয়ে নিয়ে গেলো বাচ্চাটিকে💚। কৃতজ্ঞতার বহির্প্রকাশ ছিলো মায়ের চোখে-মুখে। রোগীদের মুখে যখন হাসি দেখি তখন ডাক্তার হিসেবে নিজের সব ক্লান্তি , সব কষ্ট সার্থক মনে হয়। মহান আল্লাহ আমাদের সবার সহায় হোন। আমীন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *